এসএসসি/সমমান পরীক্ষা ২০২৪ এর ফলাফল ১২ মে প্রকাশ হয়। এ বছর পাস করেছে ১৬,৭২,১৫৩ জন শিক্ষার্থী, পাসের হার ৮৩.০৪ শতাংশ। ১ লাখ ৮২ হাজার ১২৯ জন জিপিএ-৫ পেয়েছে। শিক্ষা বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, সারা দেশে একাদশ শ্রেণিতে আসন রয়েছে ২৫ লাখ। অর্থাৎ, এসএসসি পাস সবাই কলেজে ভর্তি হলেও আট লাখের বেশি আসন খালি থেকে যাবে।
ফি কত? ভর্তির যোগ্যাতা ইত্যাদি বিষয় আলোচনা করা হবে। তারুণ্য কম্পিউটার বা Tarunya Computer ঝালকাঠি থেকে বিস্তারিত তথ্য জানতে পাবেন। অনলাইনে প্রতি বছরের মতো এ বছরও আবেদন করতে হবে। আবেদন ফি ১৫০টাকা বিজ্ঞাপনে প্রকাশ করেছে। তবে, অনলাইন আবেদন চার্জ ১৫০টাকা ছাড়া ভর্তির জন্য জেলা পর্যায়ের কলেজের বাংলা ভার্সনে ৩ হাজার টাকা ও ইংরেজি ভার্সনে ৪ হাজার টাকা (ভর্তি ফি) নির্ধারণ করা হয়েছে। আর উপজেলা বা মফস্বল পর্যায়ের কলেজে বাংলা ভার্সনে দুই হাজার পাঁচশ টাকা ও ইংরেজি ভার্সনে ৩ হাজার টাকা ভর্তি ফি নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া সরকারি কলেজগুলো সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী ভর্তি ফি নেবে।
যাদের ফি মওকুফ করা হবে-
দরিদ্র, মেধারী ও বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিক্ষার্থী ভর্তির জন্য কলেজগুলোকে ফি যতদূর সম্ভব মওকুফের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।
একজন শিক্ষার্থী যতগুলো কলেজে আবেদন করবেন, তার মধ্য থেকে তার মেধা, কোটা (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) ও পছন্দক্রমের ভিত্তিতে একটি মাত্র কলেজে তার অবস্থান নির্ধারণ করা হবে। শিক্ষার্থীদের এসএসসি বা সমমানের পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে কলেজে ভর্তি করা হবে।
‘ম্যানুয়ালি’ আবেদন করতে পারবেন যে সকল শিক্ষার্থী-
বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন যে শিক্ষার্থীরা এসএসসি পাস করেছে, কেবল তারাই বোর্ডে হাতে হাতে (অনলাইনে নয়) ভর্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। এছাড়া প্রবাসীদের সন্তান ও বিকেএসপি থেকে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থী এবং সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে বিভাগীয় বা জাতীয় পর্যায়ে কৃতিত্বের জন্য পুরস্কারপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা কলেজে ভর্তির জন্য বোর্ডে ‘ম্যানুয়ালি’ আবেদন করতে পারবেন। এক্ষেত্রে বোর্ড প্রমাণপত্র যাচাই-বাছাই করে শিক্ষার্থীকে (প্রতিষ্ঠান কর্তৃক নির্ধারিত ন্যূনতম জিপিএ এ ক্ষেত্রে শিথিলযোগ্য হবে) ভর্তির ব্যবস্থা নেবে।
ভর্তির যোগ্যতা
ক) পূর্ববর্তী তিন বছরে দেশের যে কোনো শিক্ষা বোর্ড এবং উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এসএসসি বা সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির জন্য আবেদন করতে পারবে।
খ) উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অন্যান্য বছরে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরাও বোর্ডে ম্যানুয়ালি আবেদন করতে পারবে। বিদেশি কোনো বোর্ড বা প্রতিষ্ঠান থেকে সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা ঢাকা বোর্ডের মাধ্যমে তার সনদের মান নির্ধারণের পর ভর্তির জন্য আবেদন করতে পারবে।
গ) একাদশে ভর্তির ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানের মোট ৯৩ শতাংশ আসন সকলের জন্য উন্মুক্ত থাকবে, যা মেধার ভিত্তিতে নির্বাচিত হবে।
ঘ) শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও অধীনস্থ দপ্তর বা সংস্থায় কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সন্তানদের জন্য ২ শতাংশ কোটা এবং মোট আসনের ৫ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের জন্য সংরক্ষিত থাকবে। এসব আসনে শিক্ষার্থী না থাকলে সেখানে মেধা কোটার মাধ্যমে ভর্তি করা হবে।
গ্রুপ নির্বাচন
১) বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা যে কোনো গ্রুপে (বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায়) ভর্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন।
২) মানবিক ও ব্যবসায় বিভাগের শিক্ষার্থীরা মানবিক ও ব্যবসায়- এই দুই গ্রুপের একটিতে আবেদন করতে পারবেন।
মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড থেকে পাস করা শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রেও একই নিয়ম কার্যকর হবে।
৩)যে কোনো গ্রুপ (বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায়) থেকে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা গার্হস্থ্য বিজ্ঞান ও সংগীত গ্রুপের যে কোনো একটিতে আবেদন করতে পারবেন।
যেসব কলেজে শিক্ষার্থী ভর্তি নিষিদ্ধ-
স্থাপনের অনুমতি আছে কিন্তু পাঠদানের প্রাথমিক অনুমতি নেই, এমন কলেজ বা সমমানের প্রতিষ্ঠানে কোনো অবস্থাতেই শিক্ষার্থী ভর্তি করা যাবে না।
পাঠদানের প্রাথমিক অনুমতিপ্রাপ্ত অথবা স্বীকৃতিপ্রাপ্ত কোনো কলেজ বা সমমানের প্রতিষ্ঠানে অনুনোমোদিত ক্যাম্পাস এবং অনুনোমোদিত কোনো বিষয়ে শিক্ষার্থী ভর্তি করা যাবে না।
বিস্তারিত জানতে যোগযোগ করুন। ২৪ রোনালস রোড,ঝালকাঠি-01712096444
আগামী ২৬ মে থেকে অনলাইনে আবেদন গ্রহণ শুরু হয়ে শেষ হবে ১১ জুন। তারুণ্য কম্পিউটার থেকে শিক্ষার্থীরা একাদশে ভর্তির আবেদন করতে পারবেন। সর্বনিম্ন ৫টি এবং সর্বোচ্চ ১০(দশ)টি কলেজে পছন্দক্রমের ভিত্তিতে আবেদন করতে পারবেন শিক্ষার্থীরা। টেকনিক্যাল ও মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের জন্যও একই সুবিধে। তবে, শুধু মাত্র টেকনিক্যাল শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ কিছু নিয়োমনীতি রয়েছে।
Leave a Reply